খুলনায় ইভিএম মেলা ২৭ অক্টোবর বর্জনের ঘোষণা বিএনপির
এ এইচ হিমালয় : আগামী ২৭ অক্টোবর খুলনায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনী বা মেলা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ওই দিন বেলা ১১টায় নগরীর জিয়া হল চত্বরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদা এই মেলার উদ্বোধন করবেন। মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের এই মেলা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ওই দিন সিইসির সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরবে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার নগর বিএনপির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ইভিএম সম্পর্কে মানুষের আস্থা বাড়ানোর জন্য ২৭ অক্টোবর খুলনায় ইভিএম মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে নগরীর ৩টি ওয়ার্ডের ১১ হাজার ৬৬৭ জন ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন। এজন্য জিয়া হল চত্বরে ১৫টি স্টল করা হবে। ৫টি এলাকার ভোটাররা সেখানে গিয়ে ভোট দিবেন। এছাড়া প্রচারের অংশ হিসেবে নগরীর বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক নেতাদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে মেলায়।
সূত্রটি জানায়, নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেডিএ আবাসিক এলাকার (মজিদ স্মরণীর দক্ষিণ পাশ) ৫ হাজার ৪২০ জন, ১৯নং ওয়ার্ডের গোবরচাকা প্রধান সড়কের ৪ হাজার ৬২৮ জন, ২১ নং ওয়ার্ডের জোড়াগেট এলাকার ৮৫৮ জন, স্টেশন রোড উত্তর পাশের ৩১৩ জন এবং দক্ষিণপাশের ৪৪৮ জন ভোটার ওই দিন ইভিএমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এজন্য ওইসব এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন পূর্বাঞ্চলকে বলেন, ২৫ অক্টোবর ইভিএম মেশিন খুলনায় আসবে। ২৭ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট দেয়া যাবে। বৃহস্পতিবার থেকে ওইসব এলাকায় মাইকিং এবং শুক্রবার মসজিদে মসজিদে লিফলেট বিতরণ করা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের এই মেলা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ইভিএম মেলা না করে নির্বাচনের আগে রাজপথে সব দলের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সিইসির পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানাবেন তারা।
এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু পূর্বাঞ্চলকে বলেন, একটি দল সরকারি খরচে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে, অন্যদিকে বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। গায়েবি মামলা দিয়ে নতুনভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে এসব প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে মেলা করে বেড়ানো নির্বাচন কমিশনের দেউলিয়াত্ব। আমরা সিইসিকে এসব ব্যাপারে লিখিতভাবে জানাবো এবং ওই অনুষ্ঠান বর্জন করবো।
তবে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী বলেন, কে আসলো বা বর্জন করলো এটা তাদের বিষয়। আমরা সবাইকে মেলায় আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সিইসি ২৭ অক্টোবর এই মেলার উদ্বোধন করবেন। এরপর সুধীজনদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন। মেলা সফল করতে সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।