হাসপাতাল ছাড়লেন বিমান দুর্ঘটনায় আহত অ্যানি
ঢাকা মেডিকেল থেকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র পেয়েছেন নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় আহত আলামুন নাহার অ্যানি। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয়া হয় তাকে। এ নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন সবাই বাড়ি ফিরলেন।
এর আগে ঢামেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, শেখ রাশেদ রুবায়েত ও শেহরিন আহমেদ। এছাড়া আহতদের মধ্যে শাহিন ব্যাপারী নামে একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আরও ঢাকা মেডিকেল থেকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয় কবির হোসেন নামে একজনকে।
ঢামেকের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন জানান, ‘অবস্থা ভালো হওয়ায় অ্যানিকে আমরা ছাড়পত্র ছাড়পত্র দিয়েছি। ও বাড়ি যাচ্ছে। ওকে বলে দিয়েছি, কোনো অসুবিধা হলেই চলে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যানির শারীরিক অবস্থা ভালো। মানসিক অবস্থা স্বাভাবিকভাবেই খারাপ হতে পারে। কারণ, তার স্বামী-সন্তান মারা গেছে। তবে তাকে পুনর্বাসনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
অ্যানি স্বামীর পরিবারে শুধু তার শাশুড়ি বেঁচে আছেন। বাবা-মায়ের দুই মেয়ের মধ্যে অ্যানি বড়। তার ছোট বোন নবম শ্রেণিতে পড়ে।
অ্যানির মা নাজমা বেগম বলেন, ‘প্রথমে ওর শ্বশুরবাড়ি গাজীপুর যাব। এরপর আমাদের বাড়ি ময়মনসিংহে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার তিন ছেলে-মেয়ে। সাত মাস আগে ছেলেটা মারা গেছে। মেয়ে দুইটা ভালো থাকুক, আপনারা আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। ’
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ জন নিহত হয়। যাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। আহত হন ১০ বাংলাদেশি।
ওই বিমানে যাত্রী ছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের পাঁচজন। তাদের মধ্যে এফ এইচ প্রিয়ক ও তার মেয়ে আড়াই বছরের তামারা প্রিয়ন্ময়ী নিহত হন। আহত হন প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি এবং মেহেদী হাসান ও সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা।
বিমান দুর্ঘটনায় আহত সাতজন বাংলাদেশিকে দেশে এনে চিকিৎসা করা হয়। এর মধ্যে অ্যানিকে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশে আনা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আহত অন্য তিনজনকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হয়।