কেসিসির শহীদ হাদিস পার্কের পার্কিং স্পেস ও পাবলিক টয়লেট টেন্ডারেও বাধার অভিযোগ
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) সম্পত্তি শাখার শহীদ হাদিস পার্কের দক্ষিণ পাশের গেট সংলগ্ন পার্কিং স্পেসসহ বিভিন্ন স্থানের পাবলিক টয়লেট বন্দোবস্ত ইজরায় টেন্ডার জমা প্রদানে বাধার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরকারি দলের যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীর বাধার মুখে সাধারণ ঠিকাদারা দরপত্র জমা দিতে পারেনি। এ অবস্থায় ফের রি-টেন্ডারের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেডি ঘোষ রোডস্থ কেসিসি সুপার মার্কেটের পার্কিং স্পেস, শহীদ হাদিস পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বের গেট সংলগ্ন পার্কিং স্পেস, খুলনা ওয়াসার সম্মুখস্থ পাবলিক টয়লেট, সোনাডাঙ্গা ট্রাক টার্মিনালের অভ্যন্তরের পুরাতন পাবলিক টয়লেট, খুলনা রেল ষ্টেশনে নির্মিত পাবলিক টয়লেট, নতুন রাস্তা মোড়ে নির্মিত পাবলিক টয়লেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখস্থ পাবলিক টয়লেট, শেখপাড়া বাজার পাবলিক টয়লেট, শহীদ হাদিস পার্কের পুকুর পাড়ের ২০টি নারিকেল গাছ, খালিশপুর টিভি উপকেন্দ্র সংলগ্ন চোকড আপ পাম্প চত্বরের ৭টি নারিকেল গাছ, নিরালা আদর্শ স্কুল সংলগ্ন পার্কের অভ্যন্তরের ৫টি নারিকেল ও ২ টি সুপারী গাছ, বয়রা ক্রস রোডের পার্শ্বের ১ টি নারিকেল গাছ, জিয়া হল চত্বরের ১৮টি নারিকেল গাছ, খালিশপুর লাল হাসপাতাল ও কোয়ার্টারের ২১টি নারিকেল গাছ ইজারা বন্দোবস্ত প্রদানে গত ৮ মার্চ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজস্ব প্যাড অথবা সাদা কাগজে সীলগালা যুক্ত খামে দরপত্র আহ্বান করা হয়। টেন্ডার বক্স রাখা হয় কেএমপি পুলিশ কমিশনার, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও রাজস্ব কর্মকর্তার দফতর এবং জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার শাখায়। সোমবার বেলা ১টা পর্যন্ত ওই দরপত্র জমার শেষ সময় ধার্য ছিল। আর দরপত্র উন্মুক্ত করার সময় ছিল দুপুর ২টা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শহীদ হাদিস পার্কের দক্ষিণ পাশের গেট সংলগ্ন পার্কিং স্পেস ও নতুন রাস্তা মোড়ে নির্মিত পাবলিক টয়লেট এর বিপরীতে মাত্র ২টি করে দরপত্র জমা পড়ে।
সাধারণ ঠিকাদারদের অভিযোগ, গতকাল সকাল থেকে নগর ভবনে কেসিসির যুবলীগের নেতৃবৃন্দ সাধারণ ঠিকাদারদের দরপত্র জমাদানে বাধা প্রদান করে। ফলে সাধারণ ঠিকাদাররা দরপত্র জমা দিতে পারেনি। তাই ফের রি-টেন্ডারের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তবে এব্যাপারে কেসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে গত ২৮ মার্চ পাবলিক টয়লেটের ইজারার দরপত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।