কম ঘুমের যত বিপদ
জন্মের পর একটি শিশু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ঘুমিয়ে কাটায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঘুমের পরিমাণ কমতে থাকে। সুস্থ শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম জরুরি বলে মনে করেন গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, যারা প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমায় তাদের শরীরে মেদ জমে দ্রুত। ঘুম কম হওয়ায় শরীরের মেটাবলিসম শক্তি কমে মেদ জমতে থাকে। ১৬ বছর ধরে গবেষণার পর সমীক্ষাটি প্রকাশ করে নার্সেস হেলথ স্টাডি। সমীক্ষা মতে, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের জন্য রাতে সাত ঘণ্টা ঘুম বাঞ্ছনীয়। এই বয়সে একজন মানুষ সবচেয়ে কর্মঠ থাকে তাই এসময় তার পরিমিত বিশ্রাম প্রয়োজন।
৭–৯ ঘণ্টা কেন ঘুমাবেন?
১. পরিমিত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক রাখে। প্রতি রাতের সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুম আপনাকে অনেক প্রাণঘাতী রোগের থেকে রক্ষা করবে।
২. ছয় ঘন্টার কম ঘুম হতে পারে বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন নামক মানসিক রোগের কারণ।
৩. পরিমিত ঘুমে মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ হয়। কমে ঘুমে স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবণ।
৪. কম ঘুমালে আপনার নতুন বিষয় শেখার আগ্রহ ও ক্ষমতা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
৫. কাঠখোট্টা মেজাজ কোমল রাখার জন্যে সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমের বিকল্প নেই।
৬. কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিদেশে গাড়ি দুর্ঘটনার অন্যতম মূল কারণ কম ঘুমানো। ঘুম কম হলে কাজে মনোযোগ কম হয় তাই দুর্ঘটনা ঘটে।
৭. সুস্থ শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও পরিমিত ঘুম বেশ কার্যকর।
কম ঘুমের কারণ
ইনসোমনিয়া বা ঘুম না হওয়ার অন্যতম কারণ আমাদের রোজকার ব্যবহারের ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি। ঘুমের থেকে সামাজিক মাধ্যমে সময় দেয়া জরুরি বলে অনেকেই ঘুমকে গুরুত্ব দেন না।
এছাড়া অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাসে ঘুম কম হতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার জন্যে একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ না থাকলে ঘুমের স্বাভাবিক রুটিনে ব্যঘাত ঘটে।
ঘরের অধিক আলোর সমাগম থাকলেও ঘুম আসতে চায় না।
ঘুমানোর জন্যে হালকা মিউজিক, বই পড়ার অভ্যাস বেশ কার্যকর।