কলকাতাকে হারিয়ে ফাইনালে সাকিবের হায়দরাবাদ
ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) শেষ চার ম্যাচে টানা হার, নিজেদের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে সর্বশেষ ম্যাচে হার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ওঠা হবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। তবে গতকাল আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আফগান লেগস্পিনার রশিদ খানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে কলাকাতা নাইট রাইডার্সকে ১৭ রানে হারায় হায়দরাবাদ। আগামীকাল ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন হায়দারাবাদের হয়ে ব্যাট ও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ২৪ বলে ৪ চারে ২৮ রান করেন সাকিব।
আর বল হাতে ৩ ওভারের স্পেলে ১৬ রান দিয়ে কলকাতার ইনফর্ম অধিনায়ক দিনেশ কার্তিকের উইকেটটি তুলে নেন এ বিশ্বাসেরা অলরাউন্ডার। শনিবার টস হেরে ব্যাট হাতে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৪ রান করে হায়দরাবাদ। জবাবে ৯ উইকেটে ১৬০ রানে থামে কলকাতার ইনিংস। আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৬ রান যোগ করে হায়দরাবাদ। তবে দলীয় ৬০ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে দলটি। সে সময় মাঠে আসেন সাকিব। ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। সাহা দলীয় ৮৪ রানে আউট হন। কিন্তু সাকিব উইকেট ধরে রেখেছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। শেষে ঝড় তুলেন রশিদ খান। তার ১০ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস হায়দরাবাদকে পৌঁছে দেয় ১৭৪ রানে। কলকাতার স্পিনার কুলদিপ যাদব ২৯ রান খরচায় ২ উইকেট পান। ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সুনিল নারাইনের ব্যাটে ঝড়ো শুরু পায় কলকাতা। দলীয় ৪০ রানে প্রথম ইউকেট খোয়ায় তারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আরও ৪৭ রান যোগ করেন ক্রিস লিন ও নিতিশ রানা। রানা আউট হওয়ার সময় ৮.৩ ওভারে দলীয় সংগ্রহ ৮৭ রান। এরপরই ১১৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট ১৬০ রান করে কলকাতা। হায়দরাবাদের হয়ে ১৯ রান খরচায় সের্বাচ্চ ৩ উইকেট নেন রশিদ খান। ম্যাচসেরা হয়েছেন রশিদ খান।