সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ মামলার আসামি নিহত
সাতক্ষীরায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নবাত আলী নামে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যিনি হত্যাসহ ১৫টি মামলার আসামি বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
রবিবার ভোর চারটার দিকে জেলা সদর উপজেলার আবাদেরহাট বাজারের নিকটবর্তী হালিমা খাতুনের পরিত্যক্ত বাড়িতে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত নবাত আলী সাতক্ষীরার শহরতলীর বকচরা গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ জানান, শনিবার পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ নবাত আলীকে আটক করে সদর থানার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য রবিবার ভোর চারটার দিকে সদর উপজেলার আবাদেরহাট বাজারের অদূরে হালিমা খাতুনের পরিত্যক্ত বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা পৌঁছামাত্র আগে থেকে অবস্থান করা নবাতের সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে নবাত আলী আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বন্দুকযুদ্ধে সদর থানার উপপরিদর্শক ইব্রাহীম খলিল, সিপাহী তুহিন আক্তার ও সদস্য আশিকুর রহমান আহত হয়েছে বলে ওসির ভাষ্য। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, দুটি রাম দা, দুটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাইসহ ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাতক্ষীরা সদর হাসাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইকবাল হাসান জানান, নিহতের বুকের দুই পাশে দুটি গুলি লেগেছে।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, বন্দুকযুদ্ধে নবাত আলী মারা যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করবে।